১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)

প্রকাশিত জুলাই ১৪, ২০২৩
চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)

Sharing is caring!

তাপস কুমার বর(সাগর কৃষ্ণনগর,গঙ্গাসাগর): আজ (শুক্রবার) ১৪ জুলাই ২০২৩ শুক্রবার দুপুর ২:৩০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে ভেহিকেল মার্ক ৩ তে চড়ে চাঁদের যাত্রা করবে “চন্দ্রযান-৩” এই রকেট।

মহাকাশযানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার সময় চাঁদের কক্ষপথে (ISRO) তার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করবে এবং তখন প্রোপালশান মডিউল থেকে ছিন্ন হয়ে যাবে চন্দ্রযানটি। এরপর রকেটটিকে একটি নিদিষ্ট স্থানে সফট ল্যান্ড করানো হবে।
গবেষণা চলছে, রকেটটিকে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে নামানো হবে। কারন এই অংশটি রুক্ষ, পাথর ও বিশালাকার গর্ত পাহাড় দারা বেষ্টিত।

এই অভিযান নিয়ে ভারতবাসী তথা বিদেশের সকল দেশবাসী তাকিয়ে রয়েছে। চন্দ্রযান-৩ এই অভিযানটি সফল হলে ভারতের ইতিহাস একটা নতুন ইতিহাস তৈরি হবে বলে ধারনা করা হয়।

ISRO জানায়, This spacecraft may take around 45 to 48 days to reach. It is estimated that the “Chandrayaan-3″ rocket is going to reach the moon between August 23 and 24” এই মহাকাশযানটি চাদে পৌঁছতে প্রায় ৪৫ থেকে ৪৮ দিন সময় লাগতে পারে।আগষ্টের ২৩ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে চাঁদে পৌঁছাতে চলেছে এ মহাকাশযানটি।
এই মিশনের মাধ্যমে, চাঁদের মাটিতে ভূকম্পন, চাঁদের পৃষ্ঠে প্লাজমা এবং আশেপাশে মৌলিক তাপ পদার্থগত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে।

চন্দ্রযান অভিযানের উদ্দেশ্যে(Objective of Chandrayaan Abhiyan) বলা হয়েছে:

১. ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) দ্বারা পরিকল্পিত তৃতীয় চন্দ্র অনুসন্ধান অভিযান। ২. এর প্রপালশন মডিউলটি একটি যোগাযোগ রিলে স্যাটেলাইটের মতো আচরণ করবে।
৩. চন্দ্রযানের মডিউলটি ল্যান্ডার এবং রোভার কনফিগারেশন বহন করবে যতক্ষণ না মহাকাশযানটি ১০০ কিলোমিটার চন্দ্র কক্ষপথে না থাকে।
৪. যোগাযোগের জন্য একটি অরবিটারকে সফলভাবে চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করে।

চন্দ্রযানসমূহ:

*চন্দ্রযান-১*– ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযান হয়েছিল ২০০৮ সালে ২২শে অক্টোবর সফলভাবে উৎক্ষেপন করা হয়েছিল “চন্দ্রযান-১ রকেটটি। ISRO মতে- মহাকাশযানটি চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করেছিল।

*চন্দ্রযান-২*– ভারতে আবার দ্বিতীয় মহাকাশ পথে যাত্রা শুরু করে চন্দ্রযান-২। পৃথিবী থেকে চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ২২শে জুলাই। এই অভিযানটি ছিল অনেক বেশি জটিল। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে চাঁদ সম্পর্কিত অনেক তথ্য বের করে এই অভিযান শুরু হয়েছিল। সফটওয়্যারের ত্রুটির কারণে শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর ল্যান্ডারটি চাঁদের পৃষ্ঠে “হার্ড ল্যান্ডিং” করে।

*চন্দ্রযান-৩*– চাঁদের মাটিতে এই অভিযানটি নিরাপদে অবতরণ করতে পারে তার জন্য বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গেছে। আগামীকাল ১৪ই জুলাই শুক্রবার এই অভিযানের অগমন ঘটতে চলেছে মহাকাশে।
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা “চন্দ্রযান-৩” উৎক্ষেপণের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ভারতের ইতিহাসে নতুন একটা স্মরণীয় অধ্যায় তৈরি করবে। যার জন্য সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে “চন্দ্রযান-৩” অভিযানের দিকে।

“বৈজ্ঞান তুমি অসম্ভবের আকাশে সম্ভব হয়েছ,

তোমার পরতে পরতে কত চিন্তার প্রকাশ!
জ্বালিয়ে দেবে প্রদীপ শিখা,

চিন্তার অগ্রগতির কর্মফলে তৈরি হয় ইতিহাস।”