Sharing is caring!

স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা : আসছে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার আশঙ্কা করছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হয়। তাদের ওপর হামলা, ভয়ভীতি দেখানো হয় যাতে তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারে। এবারও নির্বাচনের আগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সরকার তাতে নজর দিচ্ছে না। বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছে। আমরা বলতে চাই, সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে। তাতে সব দল অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু নির্বাচন ঘিরে আমরা কোনো সাম্প্রদায়িক হামলা দেখতে চাই না।
শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে সাম্প্রদায়িকতার ভাইরাস সমাজে ছড়ানো হচ্ছে। জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজতের নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা ও বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়ার মামলায় পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: হেফাজতের ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলন সাংবিধানিক অধিকার।’ এমন প্রতিবেদনের জন্য পিবিআইয়ের কঠোর সমালোচনা করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি। তিনি প্রশ্ন রাখেন: হেফাজত কি পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছে কি না?
শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় ৫০টি ভাস্কর্য রয়েছে। অথচ মুসলিমপ্রধান বলে আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য করতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।