Sharing is caring!

সাগর বক্ষে,আমি জন্মেছি জলে,
খুঁজেছি তন্ন তন্ন করে জলকন্যারে সেথা,গহীন সাগর তলে।
মাছেরা কানেকানে আমায় দিয়েছে বলে,
আকাশ নিয়েছে তারে সঙ্গোপনে তুলে।
একি কথা শুনি হায়! মাথা ঘুরে যায়,
আকাশ!লুকায়ে রেখেছে তারে,কোন অজানায়?
ঘূর্ণীতে ঘূর্ণীতে ঘুরে ঝড় উঠে যায়,
উঠেছি আকাশপাড়ে,বলো কোন কিনারায়?
বক্ষ বিদীর্ণ হবে তোর, বিজলীর জ্বালায়,
এমন গর্জন দেবো, তোর সামলানো দায়।
ফিস ফিস করে বাতাস বলে, লুকায়ে রেখেছে তারে ঐ পাহাড়ের গায়,
উত্তরের হিমালয় পানে মেঘকুল লয়ে মেঘপুত্র ধায়।
আকাশ জুড়ে ক্ষীপ্ত মেঘের সমাহার,বিজলী চমকায়,
ভীতু পাহাড়, করজোড়ে তাহারে শুধায়;
রেখেছিনু তারে,অন্তরে ভরে অন্তঃপুরে হায়,
নিভৃতে ঝর্ণা হয়ে গিয়েছে চলে শ্যামল বাংলায়।
রাগে গর্জে উঠে মেঘপুত্র, লাথি মারে আকাশের গায়,
আকাশের বুকে বিজলীর ঝলক, তাই আজো চমকায়।
খুঁজেছি তারে দক্ষিণে,পূবে পশ্চিমে ঝঞ্জার বেগে,
নদনদী তটে,পলল ভুমি,বন বনানীতে দিবা রাত্রি জেগে।
বৃষ্টি তুমি যাও ধরায়,মাটির গহীনে তারে খুজেযদি পাও,
তুলি আমি আনি তারে, দেখা যদি পাও।
দুমাসে বদলে রূপ,মনোহারী রূপসী বাংলায়,
শরৎ হেমন্তে,শীতবসন্তে গ্রীষ্মবর্ষায়,শ্যামল শ্যামলীমায়।
এতো আমি তারে খুঁজেছি যারে, আকাশে বাতাসে শ্যামল ধরায়,
বারেক দেখেনি ফিরে মেঘ পুত্র তরে, কি হাল হলো তার সখায়।
বর্ষায় বৃষ্টিস্নাত করেছি ধরা,মোর জল কন্যারে কি কোথাও দেখা যায়?
ঐ দেখি আমার প্রিয়ারে কদম্বশাখে ফুটফুটে কদম্ব ফুয়ারায় এই বর্ষায়।
বর্ষণে বর্ষণে দেবো ভাসায়ে যতদিন ভবে না জাগিবে রূপসী জলকন্যা হাতে কদম্ব লয়ে,
দিলে না দেখা,আবার আসিবো শ্যামল বাংলায় অন্য বর্ষায় অদম্য বাসনা বক্ষে লয়ে।
ওহে বিধি, মেঘ বৃষ্টি ঝড়ে তোমারি খেলার করে,
আমরা খেলি পাতানো খেলা কোথাও ভাসাই কোথাও শুকাই তেমারি খেয়াল ভরে।
মো: কামাল উদ্দিন
রচনাকালঃ ৬ই আগষ্ট১৯ইং
নিজ আবাসন