Sharing is caring!

সিকদার লিটন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামের অসহায় মুজিবুর রহমানের কন্যা সুমির সাথে ইসলামী সরাশরীয়ত ও কাবিন রেজিস্ট্রি মূল্যে বিগত১৫/৯/২০১৮ তারিখ পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া থানাধীন শামুকখোলা নিবাসী সৈয়দ সারোয়ার এর ছেলে সোহানুর রহমান (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত) 6 লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া ইসলামিক সরাসরিয়াত ও কাবিন
রেজিস্ট্রি মূল্য বিবাহ সম্পন্ন হয়।বিবাহের কিছুদিন পর শুরু হয় সুমি আক্তার (পুঠি) উপর যৌতুকের জন্য নির্যাতন ।আস্তে আস্তে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে এবং বাধ্য হয়ে সুমির বাবা সুমির সুখের কথা চিন্তা করে ধার দেনা এবং ব্যাংক লোন করিয়া নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা সোহান কে প্রদান করিলে কিছুদিনের জন্য শান্ত হয় সুহান। এরই মাঝে সুমির গর্ভে সন্তান আসে। সন্তান গর্ভে আসার পর শুরু আবার জুলুম-নির্যাতন একপর্যায়ে সুহানের মা শিরিনা বেগম সহ সোহান যোগসাজশ কোরিয়া সুমির গর্ভের সন্তান নষ্টকরার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং সুমি বাধ্য হয়ে তাদের কথামতো সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য হয়। গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার পর সুমি অসুস্থ হয়ে গেলে সুমির পিত্রালয়ে জোরপূর্বক রেখে যায় সোহান। সুমি বার বার স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে চাইলে বিভিন্ন রকম তালবাহানা শুরু করে শোহান এবং তার পরিবার এরই মাঝে সোহান এবং তার পরিবার সুমিকে খারাপ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় এবং তারই
ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিপনের শরণাপন্ন হন। শিপন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ওই যৌতুকলোভী সেনাবাহিনীতে কর্মরত সুহানের পক্ষ নিয়ে অসহায় সুমিকে চরিত্রহীনা সনদ দিয়ে সমির সংসার ভাঙতে সহযোগিতা করে। বিষয়টি সুমি এবং তার পরিবার জানতে পারার পর শালিস বাণিজ্য কারী চেয়ারম্যান শিপনের শাস্তি চেয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং স্বামীর সংসার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করে ন্যায় বিচার দাবি করেন।