১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এফবিজেও।

প্রকাশিত জুলাই ১, ২০২৩
সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এফবিজেও।

Sharing is caring!

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও)।

‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার’ নামে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধ ও ধর্মীয় প্রতীককে অপমান করার এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিক সংগঠন এফবিজেও।

শনিবার (১জুলাই ) সাংবাদিক সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও)পক্ষ থেকে ফেডারেশনের মহাসচিব মোঃশামছুল আলম বলেছে, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত উসকানি বন্ধে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুসারে, সুইডেনে বসবাসরত ইরাকি নাগরিক সালওয়ান মোমিকা বুধবার স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এরপর অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছে।

(বুধবার) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে দুই ব্যক্তি আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে পবিত্র কুরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদেকে এই ন্যক্কারজনক কাজ করার অনুমতি দেয় একটি সুইডিশ আদালত। কুরআন অবমাননা করার জন্য ওই ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তিরা পবিত্র ঈদুল আজহার দিনটিকে বেছে নেয়।

উপস্থিত ছিল। এছাড়া বেশ কয়েকজন বিরোধী তাকে আরবি ভাষায় গালাগাল করে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।

পাকিস্তান এ বিষয়ে জারি করা এক বিবৃতিত বলেন, স্টকহোমে কোরআন অবমাননার এই ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্চি।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সুইডিশ সরকার এই প্রথম ইসলাম অবমাননাকারীদের প্রশ্রয় দেয়নি বরং অতীতেও বহুবার দেশটির মাটিতে কুরআন অবমাননার ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রেখেছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুইডেনে ইসলাম অবমাননার এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যে বিষয়টি এই বিকৃতরুচির মানসিকতাকে আরো বেশি ন্যক্কারজনক করে তুলেছে তা হলো সুইডিশ সরকারের অনুমোদন ও আশ্রয়-প্রশ্রয়।

তিনি বলেন, বিশেষ করে যখন কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র হজ্বব্রত পালনে ব্যস্ত এবং সারাবিশ্বের প্রায় দুইশ’ কোটি মুসলমান যখন পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করছেন তখন সুইডিশ সরকারের এই ঘৃণ্য তৎপরতা মেনে নেয়া যায় না।

কানয়ানি বলেন, একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননার মাধ্যমে শুধু যে একটি ধর্মের বিরুদ্ধে আগ্রাসন ও ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে তাই নয় সেইসঙ্গে একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর মৌলিক মানবাধিকারও লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি এ ধরনের ন্যক্কারজনক তৎপরতার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্টকহোমের প্রতি আহ্বান জানান।