৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

রমজানে নিত্য পন্যের মূল্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ক্যাব চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপের উদ্যোগে গণঅবস্থান ও বাজারভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচি

প্রকাশিত মার্চ ১৮, ২০২৩
রমজানে নিত্য পন্যের মূল্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ক্যাব চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপের উদ্যোগে গণঅবস্থান ও বাজারভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচি

Sharing is caring!

চট্টগ্রাম মহানগর

বহদ্দারহাট বাজারে ক্যাব চট্টগ্রামের রমজানে অবৈধ মজুতদার, কালোবাজারীদের সামাজিক ভাবে বয়কটে বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচি
রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে অতিমুনাফা আদায়ে সংযম প্রদর্শন ও ইফতারীতে ভাজা পোড়া বাদ দিয়ে খিচুরী খাওয়ার আহবান

আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্য মূল্যে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা আদায়ে সংযম প্রদর্শন ও ইফতারে ভাজা পোড়া বাদ দিয়ে খিচুরি খাওয়ার দাবিতে বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচি ১৮ মার্চ ২০২৩ইং নগরীর বহদ্দারহাট বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপ এর উদ্যোগে গণঅবস্থান ও বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসুচির অংশহিসাবে এ কর্মসূচিতে অংশনেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আনিসুর রহমান ও রানা দেব নাথ। ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, বহদ্দারহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী জানে আলম, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, সাধারন সম্পাদক ইসমাইল ফারুক, সহ-সভাপতি আবু ইউনুচ, সদস্য মাহবুবুর রহমান দুর্জয়, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, মহানগর নির্মান শ্রমিক লীগের সভাপতি এম এ আলিম রানা, সুজন বুড়য়া, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের আমজাদুল হক আয়েজ, ইমদাদুল ইসলাম, রাসেল উদ্দীন, খালেদ সাইফুল্লাহ, ইব্রাহিম ফারুক, মিশকাত, আবরার আয়ান সুজন প্রমুখ।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুটিকয়েক ব্যবসায়ী নানা অজুহাতে করোনার লকডডাউন পরবর্তী সময় থেকে নিত্যপণ্যের বাজারে অতিমুনাফা করে অস্থির করে আছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্থানে তাদেতর নাম ও পরিচয় বের হয়ে আসলেও এসমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। সেকারনে অতিমুনাফার এখন সামাজিক সংক্রমন ঘটেছে। এসুযোগে ব্যবসায়ীরা একবার আলু, একবার পেয়াঁজ, একবার ডাল, আটা-ময়দা এভাবে প্রতিটি পণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরী করছেন। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্য মূল্যের বাজারে আগুন ও নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ঠদের কালক্ষেপনে সরকারের সব অর্জনকে ¤øান করে দিচ্ছে। আর এভাবে বিষয়টিকে অবজ্ঞার ফল দীর্ঘমেয়াদে সরকারের জনপ্রিয়াতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে।

বক্তাগন বলেন, সাধারন জনগনের দুঃখ দুুুর্দশা লাগবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আন্তরিক হলেও তাঁর অধিনস্তদের আন্তরিকতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। সেকারনে ১ কোটি পরিবারের জন্য টিসিবির রেশন কার্ড প্রদান, টিসিবির ট্রাক সেল, ওএমএস ও ১০ টাকায় চাল বিক্রির মতো জনহিতকর কর্মসুচি পরিচালনা করা হচ্ছে। করোনা পরবর্তী সময় থেকে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজারে কারসাজি করে বাজারে আগুন ধরাচ্ছেন। যার কারনে চালের দাম দীর্ঘ দুই বছর ধরেই অস্থির। সরকারের সং¯িøষ্ট সংস্থার লোকজন অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধের পরিবর্তে এসমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ডকে বৈধতা প্রদানে সাধারন মানুষের ওপর নানা অভিযোগ তুলছেন। রমজানকে সামনে রেখে দাম বাড়েনি এমন পণ্যের তালিকা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এ অবস্থায় অতিমুনাফালোভী গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে বর্জনের আহবান জানান।

উপস্থিত বক্তারা  পবিত্র রমজান মাসে পণ্য-দ্রব্য ক্রয়ে সংযমের পরিচয় প্রদান, দরিদ্রদের মাঝে নিত্যপণ্যের বাজার যোগান ও সরবরাহ ঠিক রাখতে ইফতার সামগ্রী বিতরণের পরিবর্তে নগদ অর্থ বিতরণের আহবান জানান। একই সাথে মাসের বাজার একসাথে না করে সপ্তাহের বাজার করার জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন দেশে ইফতারে প্লেটভর্তি ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, জিলাপি ও মুড়ি ছাড়া হয় না। কিন্তু রোজাদারের স্বাস্থ্যের পক্ষে এসব খাবার কতটুকু উপকারী? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ডায়েবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই সাহরি ও ইফতারিতে দুধ, ওটস এবং বাদামের মতো হালকা খাবার খাওয়া উচিত। ভাজাপোড়া ও মিষ্টান্নজাতীয় খাবার শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যেসব খাবারে তেল ও শর্করাজাতীয় উপাদান থাকে সেসব খাবার পরিহার করাই শ্রেয়। একইভাবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদেরও ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিকল্প হিসাবে খিচুরীও শরীরের জন্য ফলদায়ক বলে মত প্রকাশ করা হয়।