৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

২০২২ বিশ্বকাপ স্বপ্নভঙ্গের পর সতীর্থদের সঙ্গে নেইমারের কথোপকথন প্রকাশ্যে

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১২, ২০২২
২০২২ বিশ্বকাপ স্বপ্নভঙ্গের পর সতীর্থদের সঙ্গে নেইমারের কথোপকথন প্রকাশ্যে

Sharing is caring!

 

খেলা প্রতিবেদক : হেক্সা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ব্রাজিলের একঝাঁক তারকা ফুটবলার পাড়ি দিয়েছিলেন কাতারে। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালেই সে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে তাদের। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে বিদায় নেয়াটা কোনোভাবেই মানতে পারছে না সেলেসাওরা। নেইমার আগেই জানিয়েছেন, মানসিকভাবে তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এবার নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জানিয়েছেন, কতটা ভেঙে পড়েছেন পেনাল্টি মিস করা রদ্রিগো, মারকুইনসদের সঙ্গে শেষ বিশ্বকাপ খেলা থিয়াগো সিলভা।

কাতারের ব্যর্থ মিশন শেষে হোয়াটসঅ্যাপে সতীর্থদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন নেইমার। রদ্রিগোদের সঙ্গে সে আলাপের বার্তা তিনি সোমবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশ্যে এনেছেন তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। সেখানে সমর্থকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘জেতার জন্য আমরা কতটা উদগ্রীব ছিলাম, কতটা একতাবদ্ধ ছিলাম; সেটা জানানোর জন্যই আমি বার্তাগুলো প্রকাশ্যে এনেছি। অনুমতি না নিয়েই আমি এগুলো প্রকাশ করছি।
ব্রাজিলিয়ান তারকা শুরুটা করেছেন মারকুইনসকে নিয়ে। জাতীয় দলের বাইরে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতেও তারা দুজন সতীর্থ। এবারের কাতার বিশ্বকাপযাত্রা সেলেসাওদের শেষ হয়েছে টাইব্রেকারে মারকুইনসের শট মিস হওয়ার মধ্য দিয়ে।

মারকুইনসকে তিনি লেখেন, ‘তোমার সম্পর্কে যা ভাবি, সেটা একটা পেনাল্টি কখনো বদলাতে পারবে না। আমি সবসময় তোমার পাশে আছি।’

মারকুইনসের উত্তর, ‘ধীরে ধীরে নিজেকে সামলাচ্ছি। সময়ই দুঃখ ভুলিয়ে দেবে। আমার সম্পর্কে ভাবার জন্য ধন্যবাদ। চেয়েছিলাম সব যাতে ঠিক থাকে। একটা পেনাল্টিতে তোমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল–এটা ভাবতেই পারছি না। তবে আমাদের শক্ত হতে হবে। দেখা যাক, ফুটবল আমাদের জন্য কী নিয়ে অপেক্ষা করছে।

এদিকে কাতারে নিজের বিশ্বকাপযাত্রার ইতি ঘটিয়েছেন থিয়াগো সিলভা। ৩৮ বছর বয়সেও রক্ষণভাগে ব্রাজিলকে তিনি দিয়েছেন নিজের সামর্থ্যের সবটুকু। এ তারকা ফুটবলারকে শেষ সময়ে বিশ্বকাপ ট্রফি উপহার দিতে না পারায় তাই আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন নেইমার।

সিলভাকে নেইমার লিখেছেন, ‘আমাদের মানিয়ে নিতেই হবে। এটাই জীবন। আমি খুব চেয়েছিলাম তোমাকে এই ট্রফিটা উপহার দিতে। তুমি, আমি ও দানি (আলভেস) এই ট্রফি জেতার যোগ্য ছিলাম। কিন্তু ঈশ্বরের বোধহয় অন্য কোনো ইচ্ছা রয়েছে।’

উত্তরে সিলভা লেখেন, ‘যতটা ভেবেছিলাম তার থেকেও বেশি খারাপ লাগছে। আমি এটা নিতেই পারছি না। আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না আমরা হেরে গেছি। ভাবতেই পারছি না! যখনই মনে পড়ছে তখনই কান্না পাচ্ছে।
টাইব্রেকারে নেইমারদের হয়ে প্রথম শটটি নিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা রদ্রিগো। কিন্তু তার নেয়া শটটি ভেদ করতে পারেনি জাল। তাই দল বাদ পড়ার জন্য নিজেকেই বেশি অপরাধী মনে হওয়ার কথা রদ্রিগোর।

তাকে সান্ত্বনা দিয়ে নেইমার লেখেন, ‘আমি তোমাকে বলতে চাই, তুমি একজন তারকা। তোমার ক্যারিয়ারের অংশ হতে পেরে গর্বিত। আমি যে তোমার আদর্শ এটা জানতে পেরে গর্বিত। তুমিও ব্রাজিলের একজন তারকা হয়ে উঠেছো। আমি ক্যারিয়ারে অনেক ভুল করেছি এবং শিক্ষা নিয়েছি। কখনো হাল ছাড়িনি। প্রতিবার নিজেকে ভালো করার চেষ্টা করেছি।’

নেইমার আরও লেখেন, ‘শক্ত থাকো। সমালোচনা এবং চাপই তোমাকে শক্তিশালী করে দেবে। তখন মনে রাখবে যে আমি বলেছিলাম, তুমি একদিন ব্রাজিলকে ট্রফি জেতাবে। তোমার দারুণ সাফল্য কামনা করি। এখন কদিন সবকিছু থেকে দূরে থাকো। ছুটি কাটাও এবং শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসো।’