২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ খাসেরহাটে এনামুল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গরু, ছাগলের অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

admin
প্রকাশিত আগস্ট ৬, ২০১৯

Sharing is caring!

ফয়সাল আজম অপু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেঃ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি পশু হাটে সরকারি রেটের অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করলেও প্রশাসন নির্বিকার রয়েছে। কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খাসেরহাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, (সোমবার) বিনোদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হকের নেতৃত্বে গরু ও ছাগল হাটে প্রতিটি ছাগলের জন্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ও গরু ৪০০-৪৫০ আদায় করছে। এবং চককির্তী গরু ও ছাগল হাটে (বৃহস্পতিবার) ও শিবগঞ্জ পৌর এলাকার তর্তিপুর হাটে (মঙ্গলবার) একই চিত্র দেখা যায়, প্রতিটি গরুর জন্য আদায় করা হচ্ছে ৪৫০ টাকা। প্রতিটি ছাগল/ভ্যাড়ার বিপরিতে ১৫০ টাকা এবং প্রতিটি গরুর বিপরিতে ৩৫০ টাকা আদায়ের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, তা মানা হচ্ছে না জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার এ তিন’টি পশু হাটে। এছাড়া হাটের দৃশ্যমান স্থানে সরকারি নির্ধারিত টোল রেটের বোর্ড ঝোলানোর নির্দেশনা থাকলেও তিন’টি হাটের কোথাও টোল রেট ঝোলায়নি হাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।

অতিরিক্ত টোল আদায়ের ব্যাপারে খাসেরহাটের ইজারাদার ও বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আমি নিজেই টোল আদায়ের রশিদ কেটে দিচ্ছি স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে। অপরদিকে, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার তর্তিপুর হাটের কেয়ারটেকার মোমিন মেম্বার বলেন, আমাদের হাট মালিক পৌর মেয়র রাজিনের এর মৌখিক নির্দেশেই দৃশ্যমান স্থানে ব্যানার টানিয়ে গরুর প্রতি ৪০০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে।

অপর দিকে খাসেরহাটের গরু/ছাগল হাটের ইজারাদার খোদ বিনোদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হকের নিকট অতিরিক্ত হারে টোল আদায়, টোলের পরিমানের চাট টাংগানো নাই কেনো? এবং আদায়কৃত টাকার পরিমান ছাড়পত্রে উল্লেখ না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি দম্ভের সাথে বলেন, প্রশাসনের নলেজে দিয়েই গরু ৪৫০ ও ছাগল ২৫০ টাকা হারে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে আদায়কৃত টাকার পরিমান ছাড়পত্রে উল্লেখ না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তার কোন সদুত্তর দেননি হাট ইজারাদার এনামুল হক চেয়ারম্যান।

অতিরিক্ত টোল আদায়ের ব্যাপারে গতকাল শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী রওশন ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন থেকে কোন ইজারাদারকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। কেউ অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। হাট চত্ত্বরে টোলের রেট সংবলিত বোর্ড টাংগানো বাধ্যতা মূলক বলেও জানান তিনি।