১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে স্বামীর ফাঁসি, দেবরের যাবজ্জীবন

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৬, ২০২১
ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে স্বামীর ফাঁসি, দেবরের যাবজ্জীবন

Sharing is caring!

ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে স্বামীর ফাঁসি, দেবরের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর:-ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ ও দেবরের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি উভয়কেই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মামলা অপর দুই আসামীকে খালাস দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরের ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ প্রদান করেন।

সাজা প্রাপ্তরা হলো, জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর গ্রামের সেকেন্দার খানের ছেলে শাহাবুদ্দিন খান ও তার ছোট ভাই সুমন খান। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর কড়া পুলিশী পাহারায় দণ্ডপ্রাপ্তদের ফরিদপুর জেলা কারাগাওে নিয়ে যাওয়া হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ( পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকা কে জানান, ২০১১ সালের ২৭ জুন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর গ্রামে আসামী শাহাবুদ্দিন খান ও সুমন খানসহ পরিবারের অন্য সদস্য আছিয়া বেগম এবং ঝুমুর বেগম মিলে বাদি একই গ্রামের কবির মোল্লার মেয়েকে ( মনিরা খানম) পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরের মধ্যে গায়ে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন দেয়। মনিরা খানম শাহাবুদ্দিন খানের স্ত্রী। পরে মনিরার চিৎকারের পাশের বাড়ি লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় মনিরার বাবা বাদি হয়ে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় পুলিশ ২০১১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত মামলার অপর দুই আসামী আছিয়া বেগম ও ঝুমুর বেগমকে বেকসুর খালাস দেন।