১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে মাছ ধরা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ নারীসহ আহত ৪৫, আটক ৭ জন

admin
প্রকাশিত আগস্ট ৩, ২০১৯
ছাতকে মাছ ধরা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ নারীসহ আহত ৪৫, আটক ৭ জন

Sharing is caring!

 

জামরুল ইসলাম রেজা, ছাতক প্রতিনিধিঃ-
ছাতকে হাওরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৪৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার জাউয়া ইউনিয়নের সাউদেরগাঁও গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার সন্দেহে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাউদেরগাঁও গ্রামের পার্শ্ববর্তী হাওরের পানিতে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করছিল গ্রামের সফর আলীর পুত্র শাহ আলম। এসময় একই গ্রামের চেরাগ আলীর পুত্র তাজ উদ্দিন লাঠিজাল দিয়ে একই স্থানে মাছ ধরার সময় প্রতিপক্ষের পেতে রাখা কারেন্ট জালে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। সংঘর্ষে আহতদের কৈতক হাসপাতালে নিয়ে আসার পর হাসপাতাল এলাকায় ২য় দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয় পক্ষের লোকজন। সংঘর্ষের সময় হাসপাতালের দরজা-জানালা ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে জাউয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ হাসপাতালে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসময় হাসপাতাল থেকে সংঘর্ষে জড়িত মোহাম্মদ আলী, ফয়ছল মিয়া, ফারুক মিয়া, গৌছ উদ্দিন, আইছ আলী, আশকর আলী ও ইমরান হোসেন নামের ৭ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। দু’দফা সংঘর্ষে গুরুতর আহত রহিমা বেগম(৪৫), মছলন আলী(৪০), সিরাজ মিয়া(৪৫), রুফিয়া বেগম(৫০), রেহা বেগম(৩৫), সাবিহা(৩৭), সেবুল মিয়া(২৯), রেনুমালা(৪৫), সবজিল আলী(৩৫), আবর আলী(৬০), খুরশেদ আলী(২২), আলী আহমদ(২২), হাসান(১৮), তাজ উদ্দিন(২৩), পারুল(২২) ও আছির আলী(২৭)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কামরান(১৫), আলী হোসেন(২০), সফর উদ্দিন(৫৫), সুহেল(৩০), জবর আলী(৫৫), বশির উদ্দিন(৪০), আবুল কালাম(৪০), শ্যামল(২৫), আলাউদ্দিন(৩০), আখলুছ আলী(৩০), সদরুল(৪৫), রিয়াজ উদ্দিন(১৮)সহ অন্যান্য আহতদের কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক নির্মল চন্দ্র দেব আটকের কথা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।