১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

কুলিয়ারচরে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ! থানায় অভিযোগ

admin
প্রকাশিত জুলাই ২৭, ২০১৯

Sharing is caring!

 

মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক পিঠা বিক্রেতার কিশোরী কন্যা (১৬) কে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার চর কামালপুর ঠুলি মৌলভীর মাজার সংলগ্ন একটি পুকুর পারে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা কিশোরীর বাড়ী পার্শবর্তী কটিয়াদী উপজেলার পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা পিঠা বিক্রেতা বাদী হয়ে গত ২৬ জুলাই শুক্রবার কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই পিঠা বিক্রেতা গত ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে তার কিশোরী কন্যা (১৬) কে সাথে নিয়ে পিঠা তৈরী করে বিক্রয়ের জন্য কুলিয়ারচর উপজেলার চর কামালপুর ঠুলি মৌলভীর মাজারে যায়। পরে মাজারের দ্বায়িত্বে থাকা ঠুলি মৌলভীর ছেলে মোঃ মেরাজ মিয়ার অনুমতি নিয়ে মাজারের উত্তর দিকে একটি পিঠার দোকান বসান। রাত ১টার দিকে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে মাজারের উত্তর দিকে একটি বাড়ীতে যাওয়ার সময় মেরাজ মিয়া রাস্তা থেকে ঐ কিশোরীর মুখ চেপে ধরে টেনে হেঁচরে মাজারের পূর্বপার্শ্বে নিয়ে কিশোরীকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে উপুর্যপরি ধর্ষণ করে । পরে মেরাজ মিয়া আরো ৫ জন অজ্ঞাতনামা যুবককে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে ওই কিশোরীকে তাদের হাতে তুলে দেয়। তারাও ওই কিশোরীকে পালাক্রমে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। পরে তারা খুন করার উদ্দেশ্যে ঐ কিশোরীকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পিঠা বিক্রেতা লোকজন নিয়ে বহু খুঁজাখুঁজি করে রাত ৩ টার দিকে কিশোরীকে অজ্ঞান অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে গত ২৬ জুলাই কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন । অভিযোগ পেয়ে ২৭ জুলাই শনিবার কুলিয়ারচর থানার এস আই আবুল কালাম আজাদ ও এস আই মোঃ আজহারুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ মেরাজ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগটি মিথ্যা দাবী করে বলেন, ওই মেয়ে ও মেয়ের মাকে আমি চিনিই না। তারা মাজারে পিঠা বিক্রি করতে আসেনি। এ ছাড়া মাজার এলাকায় ওই দিন এমন কোন ঘটনাও ঘটেনি।

এ ব্যাপারে এস আই আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে শনিবার ঘটনার স্থল পরিদর্শণ করেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে।