২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

গর্ভপাত করলেন মা,ধর্ষণ করেন পুত্র

admin
প্রকাশিত জুলাই ১, ২০১৯
গর্ভপাত করলেন মা,ধর্ষণ করেন পুত্র

Sharing is caring!

 

মোজাম্মেল হক::সুনামগঞ্জ
তাহিরপুরে উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করেছে এক বখাটে যুবক। এক পর্যায়ে প্রতারিত ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ধর্ষকের মা তাকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাতের ওষুধ সেবনে বাধ্য করেন। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক, তার মা ও বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।
পুলিশ, ভিকটিমের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামের তরুণীকে (১৮) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করছিল একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে ইকবাল মিয়া (২৩)। জানা গেছে, ধর্ষক ইকবাল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিমকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এতে সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ২৫ মে রাতে মেয়েটির বাড়ি পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে প্রথমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে প্রতারিত তরুণী তার পরিবারকে এ ঘটনা জানালে তার পিতা ধর্ষকের পিতাকে ঘটনা খুলে বলে প্রতিকার চান। এক পর্যায়ে ইকবাল আরো বেপরোয়া হয়ে বিয়ের প্রলোভনে ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মেয়েটি ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এ সময় ইকবাল নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে। গত ২৫ জুন রাতে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবালের মা শামসুন নাহার ওই তরুণীকে তার বসতঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাতের ওষুধ সেবন করান। গত ২৮ জুন তরুণীর গর্ভপাত ঘটে। তখন এ বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আলোচিত হয়। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভিকটিমের পিতাকে আইনি আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলায় ইকবাল, তার বাবা ও মাকেও আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহিরপুর থানার এসআই মো. হুমায়ুন কবির শনিবার রাতে ইকবালকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন।
এসআই মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তার সঙ্গে এ ঘটনায় আরো দুইজনও জড়িত বলে জানিয়েছে সে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, ইকবালকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গর্ভপাতকৃত শিশুর ময়না তদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।