Sharing is caring!

জাহিদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ফেরদৌসের (৩২) বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে গতকাল সোমবার জামালপুর পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ওই ছাত্রীর মা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন। গত ৬ জুন ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে।
যৌনহয়রানির শিকার ওই ছাত্রীর মা সাধুরপাড়া ইউপির একজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। অবশেষে ওই ছাত্রীর মা তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টার বিচার চেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে দিয়েছেন। ওই কমিটি ইতিমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। এদিকে ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ পাওয়ার আগেই বকশীগঞ্জের বহুল আলোচিত এ ঘটনাটি পুলিশ সুপার জানতে পেরে গতকাল সোমবার এএসআই ফেরদৌসকে জামালপুর পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, যৌনহয়রানির শিকার ওই ছাত্রী উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তী কেবি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বয়স আনুমানিক ১৪ বছর। তার মা স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে তাদের বাড়িতে যাতায়াতের সুযোগে ওই ছাত্রীর ওপর কুদৃষ্টি পড়ে স্থানীয় কামালের বার্ত্তী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই ফেরদৌসের। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে মাঝেমধ্যে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ফেরদৌস। মাঝেমধ্যে বাড়িতে গিয়েও একই প্রস্তাব দিতেন তিনি। গত ৬ জুন ইউপি সদস্যা বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে ওই দিন বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে এএসআই ফেরদৌস ওই বাড়িতে যান। সেদিন একা পেয়ে কথাবার্তার একপর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ফেরদৌস ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই ছাত্রী নিজেকে রক্ষা করে চিৎকার দিলে ফেরদৌস দ্রুত দরজা খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যান। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে চিনতে পারলে