Sharing is caring!

জাহিদুল ইসলাম,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলা ভিজিডি কর্মসূচির নিম্মানের ১০২ বস্তা চাল আটক।
২৫ জুন মঙ্গলবার দুপুরে বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি কর্মসুচির উপকারভোগীদের মাঝে সরকারী বরাদ্দকৃত চালের পরিবর্তে বিতরণের জন্য নিম্ন মানের খাবার অনুপযোগী মজুতকৃত ১০২ বস্তা চাল আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, মঙ্গলবার বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি কর্মসুচির চাল বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান সাদুল্লাপুর সরকারী খাদ্য গুদাম থেকে বরাদ্দকৃত ভিজিডি কর্মসুচির ওই চাল মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত উত্তোলন করেননি। তার পরিবর্তে বিগত ২০১৭ সালের বস্তাবন্দি নি¤œ মানের খাবার অনুপযোগী এই চালগুলো ইউনিয়ন পরিষদে মজুত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই চাল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন।
বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন সরকার বলেন, ‘ভিজিডি কর্মসুচির বরাদ্দকৃত চাল মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়নি। এই চালগুলো ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুর রহমান শহীদ তার উপজেলা মোড়স্থ নিজ গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।’ কিন্তু কেন নিয়ে যাওয়া হয়। এব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
তা বিতরণের কথা থাকলেও কেন বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করা হলো না এ প্রশ্নের উত্তরে বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন সরকার জানান, হটাৎ করে এই সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় চাল উত্তোলন করা সম্ভব হয় নাই।
এ ব্যাপারে ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুর রহমান শহীদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ওই কর্মসুচির তদারকী কর্মকর্তা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ ইউনুস আলী জানান, এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি আরশেদুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রতিটি ৩০ কেজি ওজনের চালের বস্তাগুলো খাদ্য অধিদপ্তরের স্টিকার যুক্ত। একারণে ধারনা করা হচ্ছে বিগত দিনের অন্য কোন সরকারী কর্মসুচি থেকে এই চালগুলো হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। যা সুযোগ বুঝে ভিজিডি কর্মসুচির উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। আর ভিজিডি কর্মসুচির বরাদ্দকৃত চালগুলো হয়তো অন্যত্র বিক্রি করে দেয়া হতো। তিনি আরো জানান, এছাড়া এ বিষয়ে আরো অন্য কোন পরিকল্পনা ছিল কিনা, পুলিশ সেই তথ্য অনুসন্ধানেও তদন্ত অব্যাহত রেখেছ