Sharing is caring!

পুনম শাহরীয়ার ঋতু,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
প্রায়ই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করতেন শিক্ষক। দিতেন কুপ্রস্তাব। কিন্তু এসব কিছুতেই ছাত্রীর সাড়া পাননি শিক্ষক। এরপর থেকে শুরু হয় বিভিন্নভাবে হেনস্তা। এই সুযোগ শিক্ষক ঐ ছাত্রীকে পরীক্ষার খাতায় মার্কস কম দিতেন। এরপর একবছর ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ছাত্রী।
মঙ্গলবার রাতে (২৪ সেপ্টেম্বর) ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেসবুকে আত্মহত্যার ডাকে সাড়া দিয়ে স্ট্যাটাস দেন। তবে এর আগেই বুঝতে পেরেছিলেন তার বন্ধুরা। সঙ্গে সঙ্গে তার পাশে দাঁড়ালেন। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলেন সাভারের একটি হাসপাতালে।
উপরের কথাগুলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের এক ছাত্রীর। এই ছাত্রী অভিযোগ করেন বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় সভাপতি বরারর একটি আভিযোগপত্রও দেন সেই ছাত্রী। ছয়দিনেও অভিযোগপত্রের কোনো অগ্রগতি হয়নি। তা দেখে মানসিক ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারেন বলে জানায় বন্ধুরা।
এ বিষয়ে ঘটনার শিকার ওই ছাত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিস্তারিত বিষয় উল্লেখ করে বিভাগের সভাপতি বরাবর অভিযোগ পত্র দিয়েছি। আমি প্রচণ্ড অসুস্থ, এখন আর কথা বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসরীন সুলতানা জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর যৌন হয়রানির বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে প্রেরণ করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক রাশেদা অখতার জানান, আভিযোগপত্রটি পাওয়ার পর কাজ শুরু করেছি। বিষয়টি খুর দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়