Sharing is caring!

জামরুল ইসলাম রেজা :: সিলেট বিভাগের একমাত্র গভীর নদীবন্দর ,ছাতক সুরমা নদী। যা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত।
বিশ্বয়ানে এই সময় ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে একটি রাষ্ট্রের একা চলা অসম্ভব। তাই অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে, ভোলাগঞ্জ-ইছামতি-হকনগর এই তিনটি সংযোগ স্হানে আধুনিক স্থলবন্দর নির্মাণ করে সুরমা নদীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে বিশাল আমদানি রফতানি চালু করা যাবে। সুরমা নদীর সাথে বঙ্গোপসাগরের সুন্দর যোগাযোগ আছে। এই বিষয়ে ভারত সরকার আগ্রহী এবং আন্তরিক। শিল্প- আধুনিক শিল্প -বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী শিল্প নগরী ছাতক আবার তার ঐতিহ্য ফিরে পাবে। ছাতক-ব্রিটিশ শাসনামলে কমলালেবুর জন্য বিখ্যাত ছিল, আসলে সকল কমলালেবু ভারতের চেরাপুঞ্জি থেকে আসতো।
ঐতিহ্যগত নদী বন্দরের কারণে ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই -ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি এবং পাল্প অ্যান্ড পেপার মিল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সারা বাংলাদেশের সাথে রেললাইন এর যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রোপওয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
একদিকে সাগর -আরেক দিকে স্থল বন্দর -এই সবকিছুর সুন্দর সমন্বয়ের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রশাসনিক অবকাঠামো। বর্তমান বিশ্বে ওয়ানস্টপ সার্ভিস বলে যাকে।
ছাতক জেলা হলে এই সকল সুযোগ-সুবিধা বা এই সকল কার্যক্রম পরিচালনার সকল সদর দপ্তর ছাতকে প্রতিষ্ঠিত হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের দুই দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মানুষের এক জায়গায় বসে তাদের সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
ভৌগোলিক সীমারেখা:-
ছাতক-দোয়ারাবাজার, কোম্পানীগঞ্জের একাংশ, জগন্নাথপুরে একংশ, নিয়ে করা যেতে পারে। আবার প্রস্তাবিত নতুন উপজেলা হলে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত হবে। এই বিষয় সরকার প্রধানের কাছে উপস্থাপন করতে আমাদের মাননীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
এর একান্ত সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
আজ প্রাথমিক তথ্য উপস্থাপন করলাম:-
বিষয়ের উপর উন্মুক্ত আলোচনার সুযোগ আছে
সকলের অংশগ্রহণ চাই।