গরুর মালিক ফজলু শেখের স্বজনরা জানান, দুজন বিএনপি নেতা ও ফজলু শেখের ভাগনে উজ্জ্বল সিকদারের উপস্থিতিতে উপজেলার ভাউরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন তার ব্যক্তিগত ফোন দিয়ে এসআই আলী হাসানের সঙ্গে লাউড স্পিকারে কথা বলেন। এসময় বাছুরসহ গাভি মালিককে ফিরিয়ে দিতে এসআই আলী হাসান ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। উজ্জ্বল সিকদার ফারুক হোসেনের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা দিতে চাইলেও আলী হাসান রাজী হননি।
উজ্জ্বল সিকদার জানান, তারা এসআই আলী হাসানকে গরু ফেরত দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি না দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চান। টাকা দিলে থানা থেকে গরু দিবেন তিনি। না দিলে আদালত থেকে নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন। লাউড স্পিকার দিয়ে ফোনে কথা বলার সময় আলী হাসান টাকা চেয়েছেন। তিনি সেখানে উপস্থিত থেকে টাকা চাওয়ার কথা শুনেছেন।
বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন বলেন, গাভি ফেরত দিতে এসআই ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। তারা ১০ হাজার টাকা দিতে রাজী হন। কিন্তু তিনি তাতে রাজী হননি।
ফজলু শেখের চাচাতো ভাই নাসির শেখ বলেন, আদালতে গিয়ে কীভাবে গরু ফেরতের আবেদন করতে হবে এ বিষয়ে পুলিশ তাদের সহযোগিতা করেনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই মোহাম্মদ আলী হাসান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ওনাদের আদালত থেকে গরু নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গরুগুলো বর্তমানে থানায় রয়েছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, গরু ফেরত পেতে তাদের আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। টাকা চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি টাকা চাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।