১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

দূর্গাপুরে বিয়ের প্রতিশ্রতিতে একাধিকবার ধর্ষনের অভিযোগ

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৩, ২০২৪
দূর্গাপুরে বিয়ের প্রতিশ্রতিতে একাধিকবার ধর্ষনের অভিযোগ

Sharing is caring!

মো: সামছুল হক, স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম বাদল হোসেন মিয়া ঘটনাটি ঘটেছে কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের হারলাতা গ্রামে অভিযুক্ত ধর্ষক বাদল হোসেন ওই গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে

ধর্ষিতা ওই নারী স্থানীয়রা জানান, কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের হারলাতা গ্রামের বাসিন্দা ওলি প্রামানিকের মেয়ে আকলিমার সাথে প্রায় ১৪ বছর আগে মালঞ্চা ইউনিয়নের শহরগাড়ী পাল্লাপাড়া গ্রামের আবু সাইদের পুত্র মো: আব্দুল মোমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে তাদের ঘর আলো করে আসে ১টি মেয়ে ও ১টি ছেলে। বড় মেয়ে মিমির বয়স ১০ বছর ও ছোট ছেলে আবিরের বয়স ৬বছর।মিমি জামগ্রামের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে এবং আবির দূর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। প্রায় ৩ বছর আগে পারিবারিক বিবাদে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বনিবনা না হওয়ায় দীর্ঘ ১৪ বছরের সংসারের ইতি টানেন আকলিমা। স্বামীকে তালাক দিয়ে ২ সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন তার বাবার বাড়িতে। সেখানে অবস্থানকালে পরিচয় হয় একই গ্রামের শাজাহান আলীর ১ম পুত্র মো: বাদল হোসেন মিয়ার সঙ্গে। এরপর মোবাইলে কথোপকথোনের সুত্র ধরে ধীরে ধীরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বছরখানেক আগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়ান বাদল। নিয়মিত আকলিমার বাড়িতে যাওয়া আসা এবং বাদলদের বাড়িতেও আকলিমালের যাওয়া আসা ছিল অবাধ। এতে করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার শারীরিরক সম্পর্কে জড়ান বাদল আকলিমা। কিন্তু সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি হয়না বাদলের পরিবার।আর পরিবারের সম্মতিতে অন্যত্র বিয়ে করার পাঁয়তারা করতে থাকে বাদল। এই বিষয়টি নিয়ে বাদলের পরিবারের সাথে আকলিমার বাবা-চাচা কথা বলতে গেলে উল্টো তাদের মারপিট করা হয়। এতে অসুস্থ হয়ে স্ট্রোক করে মারা যান আকলিমার বাবা ওলি হোসেন।পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার বিচার শালিসও হয় কিন্তু কোন সুবিচার পাননি আকলিমা। উল্টো তাকে ও তার পরিবারকে নানানভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতে থাকেন বাদল ও তার পরিবার।

এদিকে প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ধর্ষক বাদল ও তার পরিবার কথা বলতে রাজি হয়নি আমাদের সঙ্গে

কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ইউপির ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: খোকন মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি অত্যান্ত লজ্জাজনকআমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি একাধিকবার মিমাংসা করা চেষ্টা করেছি কিন্তু আমরা সমাধান করতে পারিনি। এর উপযুক্ত বিচারের জন্য আমরা মেয়ে পক্ষকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি