Sharing is caring!

মোজাম্মেল হক, প্রতিনিধিঃঃ
সুনামগঞ্জ ছাতক উপজেলার স্ত্রী’র বিরুদ্ধে মাদকাসক্ত স্বামীর মিথ্যা সংবাদ স্ত্রী’র অভিযোগ।ছাতকে যৌতুক লোভী স্বামীর প্রতারণার শিকার হয়ে আদালতে আশ্রয় নিয়েছেন এক গৃহবধু।
আদালত সূত্র জানায়,জেলার ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের বড়চাল গ্রামের মোঃইজ্জত আলী চৌধুরী কন্যা আলিমা চৌধুরী সুবর্ণা’র সাথে একই ইউনিয়নের বাগইন গ্রামের হাজী মোঃবাদশা মিয়ার পুত্র মোঃতানভীর সুহেল এর সাথে।
গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।বিয়ের নিকাহ নামায় ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৬ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে বিবাহের দিন আলিমার পিত্রালয় থেকে নগত ৩ লক্ষ টাকা সহ মোট ৫ লক্ষ টাকার মালামাল উপঢৌকন বাবদ দেয়া হয়। বিবাহের পর যথারীতি আলিমা চৌধুরী সুবর্ণাকে স্বামীর বাড়িতে উঠাইয়া নেয়া হয়। কিছু দিন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখ শান্তিতে অতিবাহিত হলেও সুখের স্থায়িত্ব বেশিদিন হয়নি।যৌতুক লোভী স্বামী তানভীর সুহেল মাদকাসক্ত থাকায় তাদের সুখের সংসারে নেমে আসে অশান্তির আগুন। সুবর্ণার স্বামীর মাদকাসক্ত বুঝতে পেরে তাকে সুপথে নিয়ে আসার প্রাণান্ত চেস্টা করে। দিন বৃদ্ধির সাথে সাথে মাদকাসক্ত স্বামীর নেশার টাকা যোগাড় করতে স্ত্রী আলিমা কে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে শুরু করে।স্বামীর নির্যাতন সহ্য করেও পিতা মাতার সম্মান রাখতে কাউকে বিষয়টি অবগত না করে স্বামীকে সুপথে ফিরিয়ে আনার আরও চেষ্টা করে। কিন্তু কে কার কথা শুনে। কিছিদিন পর স্বামীর দেয়া ও পিতার বাড়ি থেকে নিয়ে আসা স্বর্ণালংকার ও নগত অর্থ মাদকের পিছনে নষ্ট করে ফেলে স্বামী তানভীর। পরবর্তীতে বিষয়টি পিতাকে অবহিত করেন নির্যাতিত সুবর্না। আলিমার পিতা ইজ্জত আলী জানান,আমার মেয়েকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৬ লক্ষ টাকা দেন মোহর উসুল বাদে ৫ লক্ষ টাকা এমনকি ৭ ভরি স্বর্ণের মধ্যে ৪ ভরি স্বর্ন দিলেও নেশার টাকার জন্য আলিমাকে দেয়া ৪ ভরি স্বর্ণ বিক্রি করে দেয় স্বামী তানভীর। নির্যাতিতা আলিমা জানায়,
গত ৩ জুলাই রাতে আমার স্বামী তানভীর সুহেল নেশাগ্রস্ত হইয়া যৌতুক হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা আমার পিত্রালয় থেকে এনে দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করে। আমি যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে তানভীর আমাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রহারসহ ধারালো ব্লেড দিয়ে ডান হাত কেটে রক্তাক্ত করে এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করে, এমত অবস্তায় বাড়ি থেকে আমাকে বের করে দেয়।
আমি ন্যায় বিচারের আশায় ছাতক জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করি। যার পিটিশন মোকদ্দমা নং সি,আর-২১২/২০১৯ এবং পারিবারিক আদালতে পৃথক মামলা দায়ের করি। আদালতে মামলা দায়ের করলেও তানভীর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে গত ২৬ জুলাই দৈনিক শ্যামল সিলেট ও ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকায় স্বর্ণ চুরির অভিযোগ তুলে মান সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি স্বামীর বাড়ি থেকে স্বর্ণ আনার কোন প্রশ্নই উঠে না।আমার স্বামী নির্যাতন করে এক কাপড়ে বারি থেকে বের করে দিয়েছেন,সেখানে স্বর্ণালংকার চুরি করার কোন সুযোগ নাই।অথচ এসব সংবাদে আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে প্রতিবেদক মনগড়া বক্তব্য উপস্থাপন করে মান হানি ঘটিয়েছে। আমি এসব সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে যথাযথ আদালতে অভিযোগ দায়ের করব।