Sharing is caring!

আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
ঈদের ছুটিতে সবাই যখন ব্যস্ত কোরবানির গরু নিয়ে তখন প্রায় ৫০টি সরকারি গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। রবি ও সোমবার রাতের আঁধারে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির ইউনিয়নের হাদাগাজী সড়কের উভয়পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটা হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি অবগত নয় বলে জানান। সড়কের পাশে বিদ্যুৎ খুঁটি বসানোর অজুহাতে এই গাছগুলো স্থানীয় সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কেটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের দাবি করে কর্তনের পর টেন্ডার দেওয়া হবে বলে নোটিশ জারি করেছেন।
সরকারি নিয়ম মোতাবেক উপজেলা পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো কাটতে হয়। অথচ কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঈদের ছুটিতে রাতের আঁধারে কাটা হয় সরকারি এই গাছগুলো। ফৌজদারহাট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর জন্য গাছ কাটার প্রয়োজন নেই। যারা গাছ কেটেছে তারা নিজেদের স্বার্থের জন্য ওই কাজ করেছে। এতে বিদ্যুৎ বিভাগের কোন দায় দায়িত্ব নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। গাছ কাটা বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, সড়কের পাশের গাছগুলো কাটতে হলে উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে। কারণ এলজিইডি ওই সড়কগুলোর পাশে লাগানো গাছগুলো সরকারি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই সড়কের পাশ দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের একটি বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন বসানো হচ্ছে। ফলে সড়কটির পাশে থাকা দুই শতাধিক ছোট-বড় গাছ কাটার পরিকল্পনা ছিলো স্থানীয় প্রভাবশালী মঞ্জুরুল আলম ও তার স্বজনরা। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির উভয়পাশে রবি ও সোমবার রাতে অর্ধশত গাছ কাটা হয়। ঢালপালা ছেঁটে কাটার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে আরও অর্ধশতাধিক বড় গাছ। রাস্তার উভয় পাশে স্তুপ করে রাখা হয়ে কাটাকৃত গাছের অংশ বিশেষ। তবে কাটাকৃত অধিকাংশ গাছ রাতেই নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আকবর চৌধুরী বলেন, ২০০৬-২০০৭ সালে হাদাগাজী ও ঘোড়ামরা সড়কে অন্তত ২৫০টিরও বেশি গাছ লাগিয়েছেন তারা। গাছগুলো বড়সড় হয়েছে। বর্তমানে সংগঠনটির কার্যক্রম না থাকায় গাছগুলো উপজেলা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন সময় তাদের লাগানো গাছ কাটা পড়েছিল। তিনি প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক আক্রমনের শিকার হয়েছেন। তিনি গাছ কাটার বিরুদ্ধে। বর্তমানে বিদ্যুৎ লাইনের নামে গাছ না কেটে বিকল্প পথে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া যেতে পারে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনির আহমদ গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের দাবি করে বলেন, স্থানীয় মঞ্জুরুল আলম নামে এক ব্যক্তিকে কাটার জন্য বলা হয়েছে।