Sharing is caring!

জেলা প্রতিনিধি,সাতক্ষীরাঃ
কুরবানিরর ঈদ এলেই কামারশালার কামার সম্প্রদায় ব্যস্ত সময় পার করে লোহালক্কড় দিয়ে হরেক রকম যন্ত্রপাতি তৈরির কাজে। মনের মাধুরী মিশিয়ে তারা তৈরি করে দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি। প্রতিটাই জেনো প্রকাশ করে কামার সম্প্রদায়ের ভালোবাসা ও অভিজ্ঞতা। কেনোনা লোহা খোদায় করে তারা বিভিন্ন স্মৃতি চিহ্ন ফূটিয়ে তোলে তাদের হাতে তৈরি অস্ত্রপাতির গায়ে। কুরবানিরর ঈদ এলেই লোহা ও হাতুড়ির টুং-টাং শব্দে মুুখরিত হয়ে উঠে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর কামারশালাগুলো। আর মাত্র দুইদিন পরেই উদযাপিত হবে মুসলিম সমপ্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। পবিত্র জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থিক সচ্ছল ব্যাক্তিরা প্রিয় পশু কুরবানির মাধ্যমে ঈদুল আযহা উৎযাপন করে থাকে। তারই প্রেক্ষিতে ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন পেশার শিল্পীরা। এদের মধ্য অন্যতম কর্মযজ্ঞ্যে ব্যস্ত কামার শিল্পীরা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কামারপাড়া ততই সরগরম হয়ে উঠছে। কোরবানির পশু জবাই গোশ কাটার কাজ সহজতর করতে কোরবানি দাতা পুরাতন দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি সংষ্কার ও নতুন তৈরী করতে কামারদের দোকানে এক মাস আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে রেখেছে বলে অনেক কামার শিল্পীরা জানিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন কামার শালায় খোজ নিয়ে জানা যায়, এক কেজি ওজনের একটি দা-বটি ৪০০-৬০০ টাকা, দুই কেজি ওজনের একটি চাপাতি ৭০০-৮০০ টাকা এবং ছুরি-ছোরা ৫০-৫০০ টাকা প্রর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার প্রবীন কামার সোমীর কর্মকার জানান, অন্যবারের তুলনায় এবার বেশি অর্ডার পেয়েছি। আর তাছাড়া রেডিমেট তৈরি মালামাল বেশি বিক্রয় হচ্ছে। এমন কাজ সব সময় যদি থাকতো তবে আমরা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হতাম, হয়তো কাটাতে পারতাম মধ্যবিত্ত জীবন, এমন আবেগঘণ কথা জানালেন কামার শিল্পীরা।
Attachments area