১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বদরগঞ্জে হতদরিদ্র এক পরিবারের বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালবাসা নিজে না খেয়েও বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করে আসছেন

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৮, ২০২০
বদরগঞ্জে হতদরিদ্র এক পরিবারের বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালবাসা নিজে না খেয়েও বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করে আসছেন

Sharing is caring!

 

নার্গীস ইসলাম,বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ- 

 

শফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ৩৫বছর ধরে ১৫ আগষ্ট এই দিনটি পালন করে আসছেন।

 

স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গুপিনাথপুর খিয়ার পন্ডিতপাড়া গ্রামের মৃত্য শমসের আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ১৫ আগষ্ট এই দিনটি পালন করে আসছে তিনি আওয়ামীলীগেরও বঙ্গবন্ধুর ভক্ত ।

 

তার বাবা শমসের আলীর যত দিন বেঁচে ছিল তত দিন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করতেন, বাবার মৃত্যুর পর বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম প্রত্যেক বছর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যু বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে।

 

শফিকুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ।

 

তার নিজ বাড়িতে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী সহ প্রায় এক হাজার লোক জনকে দাওয়াত করে নিজ বাড়িতে গুপিনাথপুর খিয়ার পন্ডিতপাড়া গ্রামের দোয়া মুনাজাত শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত সকলকে তোবারক পরিবেশন করেন।

 

শফিকুল ইসলাম গরিব হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান দিন আনে দিন খায় অভাব আনাটানের সংসারে ছয় সন্তান চার ছেলে দুই মেয়ে তার দুই ছোট মেয়ে মানুষের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে অভাবের সংসার ।

 

খিয়ার পন্ডিতপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ান আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খতিবুর রহমান বলেন,তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করতেন বাবার মৃত্যুর পর ছেলে শফিকুল ইসলাম পালন করে সে খুবেই গরীব দিন আনে দিন খায়।

 

কথা হয় শফিকুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, আমার বাবা সারা জীবন আওয়ামীলীগ করেছে আর বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকী ১৫ আগষ্ট এই দিনে গ্রামের সকল কে দাওয়াত করে দোয়া মুনাজাত শেষে সবাইকে খিচুড়ি খাওয়াত।

 

বাবা মারা যাওয়ার সময় আমাক কয়াগেইছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করার কথা সেই থেকে মুই ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করো। মুই মরার পর মোর বেটারা এই দিন পালন করবে।

 

গ্রামের সকল মানুষ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কাছে আকুল আবেদন জানায় তিনি যেন এই গরিব হতদরিদ্র পরিবারের দিকে একটু দেখে।

 

গুপিনাথপুর শালবাড়ীহাটের মনিকা ডেকোরেটরের মালিক সবুজ মিয়া বলেন,প্রতিবছর আমার কাছে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করার জন্য প্যান্ডেল সহ জাবতীয় ডেকোরেটরের মালামাল নেন তাতে ওনার ভাড়া হয় চার হাজার টাকা ।

 

ওই গ্রামের আওয়ামীলীগের কর্মী জাকিরুল বলেন, আমাদের এমপি মহদয়ের কাছে দাবী এই গরিব হতদরিদ্র পরিবারের দিকে একটু সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিলে পরিবারটার উপকার হত।

 

তাকে কেউ কোন দিন সরকারি রিলিফের কার্ড দেইনাই। সে বড়ো অসহায়।