১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

এবারের ঈদে সাংবাদিক মহিবুল ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উক্তি

admin
প্রকাশিত জুলাই ২৭, ২০২০
এবারের ঈদে সাংবাদিক মহিবুল ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উক্তি

Sharing is caring!

অভিযোগ ডেস্কঃ আমরা জানি ঈদ মানে আনন্দ, উৎসব ও আয়োজন। তবে এ বছর ঠিক বিপরীত একটি ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি আমরা।

 

বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য এমন বিবর্ণ একটা ঈদ এসেছে, যা আগে কখনো আসেনি। 

 

এ বছর ঈদে করোনার কারণে দিন-রাত এক করে কেনাকাটা করা, চাঁদ রাতে ঘুরে বেড়ানো, বাজি ফুটানো, নতুন কাপড়-আসবাবপত্র-গৃহের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা, ঈদের উপহার দেওয়া-নেওয়া, গ্রামে যাওয়া, বাবা মায়ের কাছে ফেরা, শহরময় ঘুরে বেড়ানো, দেশে-বিদেশে ছুটি কাটাতে যাওয়া সব বন্ধ। এমনকি ক্ষমতা থাকলেও আমাদের উচিত হবে না কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া।

 

শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেকগুলো দেশেরই মুসলিম নেতৃবৃন্দ বলেছেন সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে হবে বলে ঈদ করতে হবে ভার্চুয়ালি। ভারত, ব্রিটেন, সৌদি আরব, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক সবখানেই ঈদ হবে অনেকটাই ঘরবন্দি অবস্থায় এবং কোথাও কোথাও কারফিউয়ের মধ্যে।

 

কাজেই সবাই মিলে এই দুঃখ পুষিয়ে নেওয়া যাবে!
যারা চাকরি করেন, তাদের জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দ ঈদ বোনাস পাওয়া। এবার সেই বোনাসের উপরেও চাপ পড়েছে। কেউ পাচ্ছেন, কেউবা অর্ধেক পাচ্ছেন, আর কেউবা পাচ্ছেনই না। কেউ কেউ তো গত দুইমাসে কোনো আয়ই করেননি।

 

সেইসব মানুষের ঈদ কোথায়?
দেশে অগণিত দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ আজ পেটপুরে খেতে পারছেন না। কোথাও কোনো কাজ নেই তাদের। দিনে দিনে আরও অনেক মানুষ বেকার হবেন। এই করোনার মধ্যেই আম্পান ঝড়ে উপকূলের মানুষ হয়েছেন গৃহহীন, সম্বলহীন।

 

যেহেতু ঈদের সামাজিক আনুষ্ঠানিকতার ব্যয় আমাদের কমে গেছে, এখন উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষ যদি কিছু দান করেন, তবেই নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের মুখে কিছু হাসি ফুটবে।

 

অসহায় মানুষ যদি আপনার দেওয়া টাকায় দু’গ্রাস ভাত মুখে তুলতে পারেন বা একজন মানুষও যদি তার বাড়িভাড়ার টাকাটা দিতে পারেন বা ঝড়ে উড়ে যাওয়া চালটা ঠিক করতে পারেন বা একটা গরু-ছাগল কিনতে পারেন, তবে সেটাই হবে আমাদের জন্য অনেক পাওয়া।

 

শৈশবে অল্প কিছু নিয়ে আমরা তৃপ্ত ছিলাম। সবাই সমানভাবে একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতাম।

 

অথচ মাঝখানে আমরা অনেকটাই বদলে গিয়েছি। ঈদ মানেই ছিল বিলাসী ব্যয়। যারা পারছে তারাও করছে, যারা পারছে না তারা ছিনিয়ে নিয়ে করছে।

 

এই করোনার কারণে সৃষ্ট অভাব আমাদের আবার স্মরণ করিয়ে দিল ‘সাধ্যের বাইরে যে সাধ তা কালে পূরণ হবার নয়, সাধ্যের মধ্যেই আছে সকল সত্য।’আসুন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচি।

 

আর সেটাই হবে এই করোনা আক্রান্ত পৃথিবীতে ভার্চুয়াল ঈদের আনন্দ।