Sharing is caring!

এম আকাশ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কোল ঘেষেই চিরসবুজ সুন্দরবন ,প্রকৃতির এক অপুর্বলীলাভূমি।মাঝে মাঝেই দেখা যায় বন্য প্রানীর।কখনো কখনো গ্রামে প্রবেশ করে মানুষের ফাদে আটকা পড়ে বীর মশাই বাঘ ও। এবার শ্যামনগরের যতিন্দ্রনগর গ্রামে দেখা মিললো বিলুপ্ত প্রাণী সজারুর । রাত অনুমান ২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের
যতিন্দ্রনগরের আব্দুল মিঞার বাড়িতে প্রবল একটা আওয়াজ শোনা যায়, তখন আব্দুল মিঞা চোর ভেবে বাহিরে আসে এবং চোর চোর বলে হাক-ডাক শুরু করে।সেই মুহুত্বে সজারুটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু পাশে মৎসঘেরীর লোকজন ততক্ষনে দৌড়ে আসে এবং সজারুটিকে ঘিরে ফেলে। মৎসঘেরীর বিভিন্ন লোকজন সজারুকে আঘাত করলে সজারুটি আঘত পায় এবং লোকজন সজারূটিকে ধরে ফেলে। পরে সংবাদ শুনে স্থাণীয় সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষনকারী সাতক্ষীরা সহব্যাবস্থাপনা সংগঠনের সিএমসির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও (এনজিও) অলটিমের লোক এসে সজারুটি উদ্ধার করে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর পশু হাসপাতালে নিয়ে যায় । চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রাণীটি এখন সুস্থ্য আছে, তবে তার শররীরে কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। পরে সজারুটি টেংরাখালী টহলফাঁড়ীর আওতায় রাখা হয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বহু প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে তার মধ্যে সজারু ও একটি প্রাণী। মূলত সজারু (porcupine) Rodentia বর্গের Hystricidae গোত্রের তীক্ষ্ম দাঁতবিশিষ্ট স্তন্যপায়ী Hystrix indica। কাঁটায় রূপান্তরিত কিছু লোম এই প্রাণীর প্রধান বৈশিষ্ট্য। ভারতীয় সজারু নামেও পরিচিত এ প্রাণী এখন বাংলাদেশে বিপন্ন। এর চোয়াল ও নাকে প্রচুর লোম ও মুখে কয়েকটি সাদা রঙের কাঁটা আছে।কোমর ও লেজের গোড়ায় অনেকগুলি লম্বা কাঁটা থাকে (১৫-২৯ সেমি), সবচেয়ে লম্বা কাঁটা ৩০ সেমি পর্যন্ত হয়। কাঁধ ও ঘাড়ে লম্বা লম্বা কূর্চের ঝুটি। পিঠের কাঁটাগুলিতে কালো বা বাদামি ও সাদা ব্যান্ড থাকে। এদের মাথাসহ শরীর ৭০-৯০ সেমি লম্বা; লেজ ৮-১০ সেমি এবং ওজন হয় ১০-১৮ কেজি। গর্তবাসী সজারু নিশাচর।