১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেহাল দশা

admin
প্রকাশিত মার্চ ২৮, ২০২০
চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেহাল দশা

Sharing is caring!

Manual2 Ad Code

 

চিলমারী প্রতিনিধিঃ  চিলমারী উপজেলার একমাত্র সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অপরিচ্ছন্ন। সুরক্ষিত নয় রোগী, ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা। গতকাল দুপুর ১২টায় সরেজমিনে কমপ্লেক্সটিতে গিয়ে ঢুকতেই নাকে ভেসে আসে বাজে এক ধরনের পচা গন্ধ।

 

Manual5 Ad Code

আমাদের সংবাদদাতা বলছেন, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে হাতে গোনা ১/২ জন রোগী ছাড়া কারও নাকে মাস্ক নেই। ওয়ার্ডগুলির মেঝে অত্যন্ত অপরিস্কার। এর চেয়েও বেহাল দশা রোগীদের ব্যবহারের জন্য টয়লেট, বেসিনসহ সম্পূর্ণ ওয়াশ
রুম। পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন উপজেলার সরকারপাড়া গ্রামের আব্দুল গণি ও হাঁপানীর রোগী ফুল মিঞা,
ডাওয়াইটারী গ্রামের গালিব, ব্যাপারী বাজারের মামুন মিঞা, মহিলা ওয়ার্ডের রোগী গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী শারমিন, ফেইচকার
চরের ময়না, চড়ূয়া পাড়া গ্রামের জনি আক্তারসহ প্রায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেক রোগীর সাথে কথা বলে আমাদের সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, ওয়ার্ডের মেঝেগুলি মাঝে মধ্যে শুধু ঝাড়– দেয়া হয়।

 

Manual8 Ad Code

ব্যাপারী পাড়ার মামুন মিঞা বলেন, তিনি ৭ দিন যাবৎ পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে তিনি মাত্র ২দিন স্যাভলন বা অন্যকোন মেডিসিন দিয়ে ফ্লোর পরিস্কার করতে দেখেছেন। একই কথা বলেছে অন্যরাও। তারা কেন মাস্ক ব্যবহার করছেন না জানতে চাইলে সকলে জানান, ডাক্তার বা নার্স তাদেরকে কোন মাস্ক দেয়নি এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, সে কথাও বলেনি। অনেকের আবার মাস্ক কেনার টাকাও নাই। রোগীদের অভিযোগ অনুযায়ী ওয়াশরুমে ঢুকে তাদের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। বেসিনগুলো পানের পিক দিয়ে লাল রং ধারন করেছে এবং টয়লেটগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দূর্গন্ধে ভিতরে প্রবেশ করাই দায়।

Manual1 Ad Code

 

এ ব্যাপারে ওয়ার্ড ইনচার্জ লতিফা খাতুনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, শুক্রবার তার অফ ডে। কর্মরত নার্স নিপা রায় ও রুপালী বেগম বলেন, তারাসহ সবাই ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

 

রোগীদেরকে হাসপাতাল থেকে মাস্ক
সরবরাহের কোন ব্যবস্থা নাই। তারা নিজের টাকা দিয়ে মাস্ক কিনে ব্যবহার করছেন। অপরদিকে শুক্রবারের দায়িত্বে থাকা সুইপার শ্রী সুবলা কাগজ-কলমে উপস্থিত থাকলেও সকাল সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোন ওয়ার্ড পরিস্কার করেনি। এসময়ে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার আকলিমা খাতুন ইমারজেন্সীতে একা রোগী দেখছিলেন।

 

সেখানেই কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, মাস্ক আমরা নিজেরাই পাইনি।
চিলমারী দরিদ্র এলাকা। সরকারীভাবে
রোগীদেরকে মাস্ক দিতে পারলে ভালো
হতো। তিনি নিজেকেও সুরক্ষিত মনে করছেন না। সম্পুরক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পয়- নিঃস্কাশন ব্যবস্থাসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার বিষয়টি তার নয়, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, হাসপাতাল ও ওয়ার্ড পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বে¡ যারা রয়েছে, তাদের দায়িত্ব অবহেলার
ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগী চিলমারীতে পাওয়া যায়নি। গত ৩/৪ মাস ধরে প্রায় ৩৫জন মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থান ও বিদেশ থেকে চিলমারীতে এসেছে মর্মে তিনি শুনেছেন।

 

তবে ৩ মার্চ থেকে চিলমারীতে আসা ৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের বাড়ীতে স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। হাসপাতালটিতে ইতোমধ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি ডাক্তার ও নার্সদের নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরে আরও বলেন, চিকিৎসক ও নার্সরাও মানুষ।

 

করোনা ভাইরাসটি ছোঁয়াচে। একজন থেকে অন্যজনে সংক্রমিত হয়। হাসপাতালটিতে যদিও আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে কিন্তু করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। এমনকি, পরীক্ষার সরঞ্জামাদী ও চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী না চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেহাল দশা চিলমারী উপজেলার একমাত্র সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অপরিচ্ছন্ন। সুরক্ষিত নয় রোগী, ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা।

 

গতকাল দুপুর ১২টায় সরেজমিনে কমপ্লেক্সটিতে গিয়ে ঢুকতেই নাকে ভেসে আসে বাজে এক ধরনের পচা গন্ধ। আমাদের সংবাদদাতা বলছেন, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে হাতে গোনা ১/২ জন রোগী ছাড়া কারও নাকে মাস্ক নেই। ওয়ার্ডগুলির মেঝে অত্যন্ত অপরিস্কার। এর চেয়েও বেহাল দশা রোগীদের ব্যবহারের জন্য টয়লেট, বেসিনসহ সম্পূর্ণ ওয়াশ রুম। পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন উপজেলার সরকারপাড়া গ্রামের আব্দুল গণি ও হাঁপানীর রোগী ফুল মিঞা, ডাওয়াইটারী গ্রামের গালিব, ব্যাপারী বাজারের মামুন মিঞা, মহিলা ওয়ার্ডের রোগী গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী শারমিন, ফেইচকার চরের ময়না, চড়ূয়া পাড়া গ্রামের জনি আক্তারসহ প্রায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেক রোগীর সাথে কথা বলে আমাদের সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, ওয়ার্ডের মেঝেগুলি মাঝে মধ্যে শুধু ঝাড়– দেয়া হয়। ব্যাপারী পাড়ার মামুন মিঞা বলেন, তিনি ৭ দিন যাবৎ পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

এরমধ্যে তিনি মাত্র ২দিন স্যাভলন বা অন্যকোন মেডিসিন দিয়ে ফ্লোর পরিস্কার করতে দেখেছেন। একই কথা বলেছে অন্যরাও। তারা কেন মাস্ক ব্যবহার করছেন না জানতে চাইলে সকলে জানান, ডাক্তার বা নার্স তাদেরকে কোন মাস্ক দেয়নি এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, সে কথাও বলেনি। অনেকের আবার মাস্ক কেনার টাকাও নাই। রোগীদের অভিযোগ অনুযায়ী ওয়াশরুমে ঢুকে তাদের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। বেসিনগুলো পানের পিক দিয়ে লাল রং ধারন করেছে এবং টয়লেটগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দূর্গন্ধে ভিতরে প্রবেশ করাই দায়। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড ইনচার্জ লতিফা খাতুনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, শুক্রবার তার অফ ডে। কর্মরত নার্স নিপা রায় ও রুপালী বেগম বলেন, তারাসহ সবাই ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

 

রোগীদেরকে হাসপাতাল থেকে মাস্ক
সরবরাহের কোন ব্যবস্থা নাই। তারা নিজের টাকা দিয়ে মাস্ক কিনে ব্যবহার করছেন। অপরদিকে শুক্রবারের দায়িত্বে থাকা সুইপার শ্রী সুবলা কাগজ-কলমে উপস্থিত থাকলেও সকাল সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোন ওয় তারা সকলে নিরাপত্তাহীনতায়
রয়েছেন।

Manual8 Ad Code