অভিযোগ ডেক্সঃ ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি অনার্স কলেজে ভর্তির নামে আই,এ ১ম বর্ষে অতিরিক্ত ফি আদায় নেওয়া হচ্ছে সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে। সরকার এবং শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ভর্তি ফি ৩৮০০ টাকা সেখানে প্রতিটি ছাত্র/ছাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৪০৫০ টাকা। কলেজ কতৃক ছাত্র/ছাত্রীদের যে রশিদ প্রধান করা হয় সেখানে লিখা রয়েছে ৪০০০ টাকা আর কলেজের যে রশিদ রয়েছে সে খানে লিখা হয় ৩৮০০ টাকা।
অভিযোগ পত্রিকার অনুসন্ধানী টিম সরজমিনে গিয়ে দেখেন যে, সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের হাতের রশিদ এবং কলেজ কর্তৃক রশিদের কোনো মিল পাওয়া যায় না। কখনো তারা তাদের রশিদ টা একেবারে খালি রেখে দিচ্ছে। যার বাস্তব প্রমান রশিদের ছবিতে দেওয়া আছে।
শত শত ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রতি বছর এভাবে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার জন্য কলেজে অফিসের দ্বায়িত্বে থাকা রাখাল বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দয়া করে আমাদের কোনো প্রশ্ন না করে কলেজের অধ্যক্ষ এবং ভর্তি কমিটি কে এই বিষয় টা জিজ্ঞাসা করুন। আমাদের কে যা বলে দেওয়া হয়েছে আমরা তাই নিতেছি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
অধ্যক্ষ ও উপাধক্ষ্য কলেজে না থাকায় তাদের মুঠোফোনে কল করা হলে কল রিছিভ করেননি। ভর্তি হওয়া সাধারন ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে থাকা কয়েকজন অভিভাবক জানান, আমরা বিষয় টা বুঝে উঠতে পারলাম না। কত কষ্ট করে আমাদের সন্তানদের কে কলেজে ভর্তি করি আর সেখানে আমাদের কে যে রশিদ প্রধান করা হয় সেখানে লিখা থাকে ৪০০০ টাকা আর কলেজের যে অংশ থাকে সেখানে লিখা হয় ৩৭০০/৩৮০০ টাকা তাহলে উভয় রশিদে এটা লিখলে তাদের সমস্যা টা কোথায়?৷ তারা কলেজের সম্মানিত সভাপতি সহ সকল সদস্যদের এবং শিক্ষা বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আসলেই সরকার যেখানে দূর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে সেখানে এত বড় শিক্ষা প্রতিষ্টান ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ কলেজে ভর্তি বানিজ্য করে বছরের পর বছর দূর্নীতি হয় সেটা বুঝা বড় মুশকিল। আসলে এই বিষয়টি দেখার কেউ নেই।
পরিশেষে অতিরিক্ত ফি আদায়ের মাধ্যমে গোবিন্দগঞ্জ কলেজে আই,এ ১ম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম চললেও প্রতিবাদ করার মত সাহস কারো নেই। দূর্নীতির বেড়াজালে চলছে কলেজের এই ভর্তি কার্যকলাপ ২০০/২৫০ টাকা বেশী নিয়ে ছাত্র/ছাত্রী দের কাছ থেকে চলছে তাদের বানিজ্য।