Sharing is caring!

মোঃ মালিক মিয়া : কুলাউড়ায় উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত চার জনের মধ্যে তিন জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে দুই জনই সিলেট নার্সিং কলেজের ছাত্রী। নিহতরা হলেন মনোয়ারা বেগম (৪৫), ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা (২০), সানজিদা (২০) ও অপরজন অজ্ঞাতপরিচয় মধ্যবয়স্ক পুরুষ। এখন পর্যন্ত এই চারজনের মৃত্যুর খবরই নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
নিহতদের মধ্যে ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা ও সানজিদা সিলেট নার্সিং কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে অপর একজন হলেন মনোয়ারা বেগম। তাঁর বাড়ি কাজীপাড়া ইউনিয়নের গুপ্তগ্রামে। তিনি কুলাউড়ার সাবেক পৌর মেয়রের ভাই আবদুল বারীর স্ত্রী।
নিহত ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভার বাবার নাম আব্দুল বারী। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। পড়াশোনা করতেন সিলেট নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে। ঢাকায় একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন তিনি।
অপর নিহত নারী সানজিদার, বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। তিনিও সিলেট নার্সিং কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
নিহত অপরজন অজ্ঞাতপরিচয় মধ্যবয়স্ক পুরুষ। তাঁর পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় কার্যত সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সিলেট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি সদস্যরা। এতে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনায় রেল সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।