Sharing is caring!
আব্দুল করিম ,চট্রগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
দেশের ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের নৌবাণিজ্য এখন জোয়ারনির্ভর হয়ে পড়েছে। দখল ও পলি জমে চাক্তাই ও রাজাখালী খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলে আসছে। বর্তমানে খাল দুটিতে স্লুইস গেট নির্মাণ কাজের জন্য নৌ-বাণিজ্যে বড় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করা ও খাল দুটি ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ী-নৌযান চালকেরা।চাক্তাই ও রাজাখালী খাল হয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে ভোগ্যপণ্য পরিবহন করা হয়। কালের পরিক্রমায় নৌ-পথে পণ্য আনা-নেওয়া সংকুচিত হয়ে এসেছে। তবুও দক্ষিণের বিভিন্ন উপজেলা ও সন্দ্বীপ, হাতিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এখনো নৌপথে পণ্য পরিবহন করা হয়।
দেখা যায়, খাল দুটিতে পলি জমায় পণ্য পরিবহন অনেকটা কমে এসেছে। এখন জোয়ারনির্ভর হয়ে পড়েছে পণ্য পরিবহন। ভাটার সময় মালামাল ভর্তি করে বসে থাকে নৌযানগুলো। জোয়ার পূর্ণ হলেই মালামাল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। নগরীর জলাবদ্ধতামুক্ত মেগা প্রকল্পের অধীনে চাক্তাই ও রাজাখালী খালে স্লইস গেট নির্মাণ কাজ চলছে। কাজের ধীরগতির কারণে ব্যবসায়ী ও নৌযান চালকদের দুর্ভোগ বাড়ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।নৌযানের মাঝিরা জানান, সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা, নোয়াখালী, হাতিয়া, ফেনী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় এখনো নৌপথে পণ্য পরিবহন করা হয়।চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাধীনতার পরও নৌপথই ছিল পণ্য পরিবহনের প্রধান মাধ্যম। এখন জোয়ার-ভাটা দেখে ব্যবসা করতে হয়।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি নুরুল হক জানান, নদীতে ভাটার থাকলে মালামাল পরিবহন স্থবির হয়ে পড়ে। ভাটার সময় নদী ও খালে পানি থাকে না। নৌযান চলাচল করতে পারে না। কর্ণফুলী নদী ড্রেজিং ও চাক্তাই-রাজাখালী খালে নির্মিয়মান স্লুইস গেট দ্রুত নির্মাণের দাবি করেছেন প্রবীণ কাউন্সিলর নুরুল হক। একই সঙ্গে খাল দুটি খননের দাবি করেছেন তিনি।
ব্যবসায়ীরা জানান, পাকিস্তান আমলে নৌপথে অন্তত ৯০ ভাগ বাণিজ্য হতো। এখন নৌ-বাণিজ্য ১৫-২০ শতাংশে নেমে এসেছে। খালের মোহনা ভরাট হয়ে যাওয়ায় নৌযান চলাচল সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও খাল দুটি ক্রমাগত দখলে সংকুচিত হয়ে গেছে।