Sharing is caring!

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : পরিচ্ছন্ন কর্মী, বাবুর্চী ও নিরাপত্তা প্রহরী দিয়ে মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গা কারিগারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেয়া হয়। মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরীক্ষা ইন্সট্রাক্টরদের বাদ দিয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা কারিগারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স কোর্সের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ১৫৪ জন শিক্ষার্থী। তারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা কেন্দ্রর দায়িত্ব দেওয়া হয় পরিচ্ছন্ন কর্মী, বাবুর্চী ও নিরাপত্তা প্রহরীসহ বিভিন্ন ট্রেডের শিক্ষকদের। মূল ট্রেডের শিক্ষকদের এই দায়িত্বে রাখা হয় নি।মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে ছিলেন বাবুর্চী আবদুল্লাহ আল মামুন, কারখানা সহকারী জিল্লুর রহমান, ইলেকট্রিশিয়ান এসএম রফিকুল ইসলাম ও পরিচ্ছন্ন কর্মী মো: আসলাম।পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ইংরেজি ইন্সট্রাক্টর সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স বিভাগের ইন্সট্রাক্টর রাজশাহীতে ৩ মাসের প্রশিক্ষণে আছেন। তাই আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি।তবে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স ইন্সট্রাক্টর মনিরুজ্জামান জানান, আমি প্রশিক্ষণে যাইনি। চুয়াডাঙ্গায় আছি। আজ সকালেই অফিস থেকে বেতনের চেক নিয়েছি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমাকে বাদ দিয়ে এ পরীক্ষা নিয়েছেন। যা নিয়ম লঙ্ঘন। তিনি নিজের পছন্দের লোকজন দিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ফলে যোগ্যরা বাদ পড়ছে।অবশ্য চুয়াডাঙ্গা সরকারী কারাগারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম মিজানুর রহমান এ ব্যাপারে কথা বলতে চাননি।