১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আগরতলা থেকে লিফলেট ছাপিয়ে দেশে প্রচার করেছি: আবদুল্লাহ আল নোমান

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আগরতলা থেকে লিফলেট ছাপিয়ে দেশে প্রচার করেছি: আবদুল্লাহ আল নোমান

Sharing is caring!

আব্দুল করিম ,চট্রগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান :

স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারতের আগরতলা থেকে লিফলেট-পত্রিকা প্রকাশ করে দেশে প্রচার করেছি। দেশবাসীকে সংগঠিত করতে কাজ করেছি। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য অর্জিত হয়নি, এটি দল-মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বের ব্যর্থতা।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) উদ্যোগে ‘বিজয়ের গল্প শুনি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইডিইউ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির চেতনায় আমরা লড়াই করেছিলাম। স্বাধীনতা অর্জনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের অধিকাংশ কৃষক-শ্রমিক বা নিম্নশ্রেণীর মানুষ। স্বাধীন বাংলাদেশ তাদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। বিত্তের অধিকারীরা দেশ ও রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। তাই আমাদের বিত্ত নয়, চিত্তের অধিকারী হওয়ার অনুশীলন করতে হবে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ইডিইউ ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের অন্যতম সংগঠক ইডিইউর উপাচার্য অর্থনীতিবিদ প্রফেসর এম. সিকান্দার খান।তিনি যুক্তরাজ্যে যুদ্ধকালীন তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, টাইমস পত্রিকায় অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের রিপোর্ট সারাবিশ্বকে নাড়া দিয়েছিলো, ফলে আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি আমরা পেয়েছিলাম। বিদেশে জনমত গঠন করতে আমরা প্রত্যেক জায়গায় গিয়ে সভা-সমাবেশ করেছি, পত্রিকা প্রকাশ করে বিলি করেছি। ফান্ড গঠন করেছি বাংলাদেশে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। প্রত্যেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিলেন আমাদের পক্ষে।রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মু. রকিবুল কবির। এতে আরও বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, কর্মকর্তা কাজী জাহিদ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমা চক্রবর্তী। এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আবৃত্তি, গান, নৃত্য, উপস্থিত বক্তৃতা, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং চট্টগ্রামের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইডিইউ মিনি ম্যারাথনের আয়োজন করে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের মুহূর্তের নানা ছবিসহ দেয়ালিকা প্রকাশ করেছে ইডিইউর শিক্ষার্থীরা।