Sharing is caring!

মোঃ ফয়ছল কাদির, সিলেট ব্যুরো :-
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন আনসার পিসি জয়নাল আবেদীন ও রূপকদের দখলে। তারা পাহাড়সম অনিয়ম-দুনীতি করলেও তা দেখার কেউ নেই। তাদের নেতৃত্বে আনসার সদস্যদের চাঁদাবাজি ও রোগী হয়রানী চরমে হয়ে ওঠেছে। আদায় করা হচ্ছে দৈনিক হাজার হাজার টাকার চাঁদা। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে সিলেট ওসমানী মেডিকেলের দুর্নাম।
বর্তমানে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা ওসমানী মেডিকেলে শুরু করছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। তাদের চাওয়া মত না দিলে বা দিতে না পারলে শুরু হয় রোগীদের রকমফের হয়রানী। আনসার পিসি নাছির উদ্দিন বদলি হওয়ার পর শুরু হয়েছে এহেন হয়রানী ও চাঁদাবাজি।
মেডিকেলের ভিতরে রোগীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও হয়রানীর মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটা বড় অংশ পেয়ে থাকেন পিসি জয়নাল ও রূপক।
অভিযোগে প্রকাশ, ওসমানী মেডিকেলে যেসব আনসার সদস্যদেরকে চাঁদাবাজি ও রোগী হয়রানীতে নিযুক্ত রাখা হয়েছে তারা প্রতিদিন ওয়ার্ডের চা-বিক্রেতা ও বহিরাগত দালালদের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে মেডিকেলের ভিতরে বেশ কয়েকটি দোকান বসিয়ে দৈনিক দোকান প্রতি ৫শ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে।প্রতিদিন সন্ধ্যায় রূপক আনসার সদস্য ও দালালাদের নিকট থেকে চাঁদার হিসাব বুঝে নেন।
চা-বিক্রেতারা ওয়ার্ডের ভিতর প্রবেশ করে রোগীদের মূল্যবান টাকা ও স্বর্ণ অলংকার চুরি করে নিয়ে যায় আর দালালরা সহজ সরল লোকদের কাছ থেকে বাহিরের ফার্মেসীতে অধিক টাকা আদায় করে থাকে।
নাম না প্রকাশের স্বার্থে এক আনসার সদস্য জানান, পিসি জয়নাল আবেদীন ওসমানী মেডিকেলে যোগদানের পর থেকে শুরু হয়েছে চাঁদাবাজি। এমনকি আনসার ক্যাম্পে যে সকল আনসার সদস্যরা থাকেন তাদের খাবার ঠিকমতো দেওয়া হয়না। আনসাররা যদি চাঁদাবাজি না করেন তাহলে তাদের উপর শুরু হয় অত্যাচার।
গত ৪ ডিসেম্বর মেডিকেলের ৯ নং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত ছলুক নামের এক আনসার সদস্যকে চাঁদাবাজির সময় হাতে নাতে ধরেন ওই ওয়ার্ডের ইনচার্জ। পরে জয়নাল আবেদীন গিয়ে আনসার সদস্যকে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। এরপর ওই আনসার সদস্য ওয়ার্ডের ইনচার্জকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
ওসমানী মেডিকেলের আনসার সদস্যদের অনিয়ম, চাঁদাবাজি ও দূর্নীতি বন্ধে মেডিকেলের পরিচালকসহ উর্দ্দতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন রোগীর স্বজনরা।