অভিযোগ ডেস্ক : সিলেটের সেই জঙ্গি শামীমা বেগমের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন বৃটেনের একজন বিচারপতি। তার নাম জোনাথন সাম্পশন। তিনি সেদেশের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের একজন।
আর শামীমা ইসলামিক স্ট্যাটস বা আইএস’র জিহাদী বধু হিসাবে বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।
বৃটেনের প্রভাবশালী ব্যারিস্টার সাম্পশন ও কুইন্স কাউন্সেল সোমবার দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভীদ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারেন।
সুপ্রিমেকার্টের সাবেক এ বিচারপতি মনে করেন, জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক শামীমাকে রাষ্ট্রহীন মানুষে পরিণত করার সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে চ্যালেঞ্জযােগ্য।
তিনি প্রকারন্তরে শামীমার বিষয়ে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন।
শামীমার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের আশারকান্দি ইউনিয়নের দাওরাই গ্রামে। তার পিতা আহমদ আলী পৈত্রিক সূত্রে যুক্তরাজ্যে যান। সেখান থেকে দেশে এসে একই গ্রামের আসমা বেগমকে বিয়ে করে আবার ফিরে যান।
তার চার মেয়ের মধ্যে শামীমা বেগম সবার বড়। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ১৯৯০ সালে আহমদ আলী দেশে এসে আবার বিয়ে করেন। বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতেই থাকেন।
পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকার স্কুলের ছাত্রী শামীমা বেগম ২০১৫ সালে তার আরো দুই বান্ধবীসহ তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ডাচ বংশোদ্ভূত এক জিহাদিকে বিয়ে করেন।
তার তিনটি সন্তান জন্ম হয় এবং পরে তারা মারা যায়। গত মার্চে তিনি খবরের শিরোনাম হন। তখন এই জিহাদি-বধূর সর্বশেষ শিশু সন্তানটিও মারা যায়।
শামীমা তার এই সন্তানটিকে বাঁচাতে ব্রিটিশ সরকারেরর কাছে আবেদন জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি ব্রিটেন।
তবে তার পরিবারের আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি এক টুইট বার্তায় শামীমা বেগমের পুত্রসন্তানকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিরিয়ার বাঘুজে এক শরণার্থী শিবিরে শামীমাকে খুঁজে পান দ্য টাইমস পত্রিকার এক সাংবাদিক। শামীমা বেগম ব্রিটেনে ফিরে আসতে চাইলেও ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করে। এখন তার পক্ষে ব্রিটেনে একটি আইনি লড়াইয়ের আশা জেগে উঠেছে।
গত ডিসেম্বরে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে অবসর গ্রহণকারী জনাথন সাম্পশন উল্লেখ করেছেন যে, শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব স্থায়ীভাবে অকার্যকর করার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারেন।
বিবিসির রিথ লেকচারে অংশ নিয়ে লর্ড সামপশন সোমবার বলেছেন, আমি জাভিদের প্রস্তাবটি শুনে অবাক হয়েছি। কারণ তিনি শামীমাকে এমন একটি দেশের নাগরিক হিসাবে গণ্য করেছেন, যার সাথে তার কোনও সম্পর্ক নেই, কিন্তু এটিই সরকারের অবস্থান এবং আমার মনে কোন সন্দেহ নেই যে আদালতে বিষয়টি অবশ্যই যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হবে।
শামীমা বেগম, যিনি লন্ডন থেকে পালিয়ে আসেন সিরিয়ায় আইএস’র সাথে যোগদান করার জন্য এবং এক যোদ্ধার সাথে তার বিয়ে হয়। তার তিনটি শিশু ছিল, যাদের সবাই মারা গেছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার আইনজীবীরা আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিচারপতি সাম্পশন বলেন, বিদেশী যুদ্ধে অংশ নেওযার কারণে কারো নাগরিকত্ব চলে যাওয়ার যে ধারণা, তার সাথে আমার কোন সমস্যা নেই। তবে এটি আন্তর্জাতিক আইনের একটি প্রতিষ্ঠিত নীতি, যে আপনি কারো বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, যা কাউকে রাষ্টহীন মানুষে পরিণত করে এবং সিরিয়া বা অন্য কোথাও গিয়ে তারা যাই করে থাকুক না কেন, তাদের বিষয়ে আইন সবসময় প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এই ক্ষেত্রেও যে করতে হবে, সেবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
শামীমার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আশারকান্দি ইউনিয়নের দাওরাই গ্রামে। তার পিতা আহমদ আলী পৈত্রিক সূত্রে যুক্তরাজ্যে যান। সেখান থেকে দেশে এসে একই গ্রামের আসমা বেগমকে বিয়ে করে আবার ফিরে যান। তার চার মেয়ের মধ্যে শামীমা বেগম সবার বড়। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ১৯৯০ সালে আহমদ আলী দেশে এসে আবার বিয়ে করেন। বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতেই থাকছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.