১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লার বরুড়ায় ভুয়া নামে চাল তুলে মেম্বারের আত্মসাৎ

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১, ২০১৯
কুমিল্লার বরুড়ায় ভুয়া নামে চাল তুলে মেম্বারের আত্মসাৎ

Sharing is caring!

আশিকুর রাহমান রাসেল,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :

কুমিল্লার বরুড়ায় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. বিল্লাল হোসেন ও বরখাস্ত ডিলার কৃষাণ মজুমদারের বিরুদ্ধে ১০ টাকার চাল ভুয়া নামে তুলার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার ঝলম ইউপির ৬,৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্ররা দশ টাকা কেজির চাল কাগজে দেখেন।

কিন্তু ইউপি সদস্য মো. বিল্লাল হোসেনের কারসাজিতে সেই চাল থেকে বঞ্চিত তারা।

বেওলাইন গ্রামের সালামত উল্ল্যাহর স্ত্রী তাহেরা বেগম বলেন, আমি কোনো কাজ করতে পারি না।

প্রতিবার চাল বিতরণের সময় এসেছি। কিন্তু ইউপি সদস্য বিল্লাল গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দিয়েছে। ওই সময় আমাকে বলেছে, ‘বুড়ি তোমার নামে কোনো কার্ড ইস্যু হয়নি’।

কিন্তু ডিলার বিনয় ভুষণ ২০ অক্টোবর আমাকে খবর দেয় যে, আমার নামে চালের কার্ড এসেছে।

নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. কদম আলী জানান, কার্ড পাওয়ার পর প্রথমবার চাল হাতে পেয়েছি।

হাবিবুল্ল্যার ছেলে শরাফত আলী চাল পেয়েছেন দুইবার। আলী হোসেনের ছেলে জামাল হোসেনের কার্ডে পেশোয়ার মিয়ার ছবি লাগিয়ে ডিলারের কাছ থেকে চাল তুলেন ইউপি সদস্য বিল্লাল। চাল বিতরণের সময় উপস্থিত প্রায় সবাই একই অভিযোগ করেন। তারা আরো জানান, বিল্লাহ খুবই প্রভাবশালী।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এলাকায় থাকা যাবে না। গোপনে তদন্ত করলে ১০ টাকার চাল নিয়ে ইউপি সদস্য বিল্লালের কারসাজি ধরা পড়বে।

সদ্য বরখাস্ত চালের ডিলার কিশান মজুমদার জানান, যার হাতে কার্ড দেখেছি, তাকেই চাল দিয়েছি। আমি কোনো কার্ড দেইনি, বেওলাইনের সব কার্ড স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

ঝলম ইউপির চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ১০ টাকা কেজি চালের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানি না। এ প্রসঙ্গে আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারব না।

বরুড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা এনামুল হক ভূঁইয়া বলেন, সদ্য যোগদান করেছি। তবে ইউপি সদস্য মো. বিল্লাল হোসেনের চাল নিয়ে কারসাজির অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু আজেও কেন কিছু হয় নাই ।