১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগেঞ্জের এমপি রতনের দ্বিতীয় স্ত্রী ঝুমুরের স্কুল বেতন নিয়ে তোলপাড়!

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২১, ২০১৯
সুনামগেঞ্জের এমপি রতনের দ্বিতীয় স্ত্রী ঝুমুরের স্কুল বেতন নিয়ে তোলপাড়!

Sharing is caring!

মোঃ বাবুল মিয়া,সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ::

১০ মাস যাবৎ স্কুলে না গিয়ে নিয়মিত বেতন তুলছেন এক শিক্ষিকা। ঘটনাটি সুনামগেঞ্জের।

সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের দ্বিতীয় স্ত্রী তানভী ঝুমুর জেলার তাহিরপুর উপজেলা থেকে ডেপুটেশনে এসে বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

তিনি গত ১০ মাস স্কুলে যান না। জানা যায় মাত্র এক দিনের জন্য ছুটি নিয়ে স্কুল ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে অনুপস্থিত তিনি। তবে তিনি স্কুলে না এলেও নিয়মিত বেতন তুলছেন।

এদিকে এমপির স্ত্রী হওয়ায় এ বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা মুখ খুলতে নারাজ।

জানা গেছে, তানভী ঝুমুর শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পান তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ।

প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে তদবির করে তিনি ডেপুটেশনে আসেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে একদিনের ছুটি নেন তিনি। কিন্তু এরপর থেকে আর স্কুলে আসেননি তানভী।

একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন তানভী ঝুমুর। সেখানে ন্যাম ভবনে এমপি রতনের ফ্ল্যাটে থাকছেন তিনি।

তানভী ঝুমুর তাহিপুরের দক্ষিণ শ্রীপুরের মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে।

তানভী ঝুমুর স্কুলে না আসা প্রসঙ্গে জানতে চাইল তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ে ৬ মাস হলো এসেছি। এসে উনাকে পাইনি।

তবে উপস্থিতির খাতা দেখে জানতে পারলাম, তানভী ঝুমুর গত ৭ জানুয়ারি একদিনের ছুটি নিয়ে আর বিদ্যালয়ে আসেননি।

অনেকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।

এদিকে, তানভী ঝুমুর নামে কোনো শিক্ষিকা উপজেলায় আছেন এমনটা জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুর রহীম বাবর।

শিক্ষিকা তানভী ঝুমুর সম্পর্কে জানতে চাইলে তাহিরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিপ্লব সরকার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপরে শিক্ষিকা তানভীর ঝুমুরের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।